উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া থানার পুলিশের বড় সাফল্য, সদ্যোজাত শিশু কন্যাকে বিক্রি করতে গিয়ে হাতেনাতে পাকড়াও 4, পুলিশ সূত্রে জানা যায় দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত মালিয়া পুর দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা প্রবীর মন্ডল এর স্ত্রী মর্জিনা বিবি গত চার দিন আগে বারাসাত একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন, সেই কন্যাসন্তানকে আজ চারদিন বাদে বেসরকারি নার্সিংহোমে থেকে ছুটি দেওয়া হয়।
-----------------------------------
তারপরেই কন্যা সন্তানের বাবা প্রবীর মন্ডল এবং মা মর্জিনা বিবি সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে টাকার জন্য তুলে দেয় লাবনী দাশ এর হাতে। এর পরেই লাবনী দাশ আর হাফিজা খাতুন দুজনে মিলে সদ্যোজাত শিশুটিকে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে হাবরায় নিয়ে আসে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাবরা থানার পুলিশ তাদেরকে হাবরা জিরাট রোডে এলআইসি অফিস এর সামনে থেকে আটক করে হাবরা থানার পুলিশ তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের কথায় অসঙ্গতি মেলে তার পরেই তারা স্বীকার করে নেয় কন্যা সন্তান টিকে চার লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে হাবরায় নিয়ে এসেছিল তারা।
শুধু তাই নয় দীর্ঘদিন ধরে হৃদয়পুর এলাকার একটি আয়া সেন্টার এর সাথে যুক্ত ছিলেন বছর তিরিশের লাবনী দাশ, আগেও এই ধরনের কার্যকলাপ করেছে সে। পরবর্তীতে তদন্তে নেমে হাবরা থানা পুলিশ মর্জিনা বিবি এবং প্রবীর মন্ডল দুজনকে দত্তপুকুর থানা এলাকার মালিয়া পুর দাস পাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা স্বীকার করে এই বাচ্চাটির সমস্ত চিকিৎসার খরচ এবং নার্সিংহোম এর খরচা বহন করেছে লাবনী দাশ তাদের বাড়িতে আরো চারটি সন্তান আছে এই শিশুটিকে টাকার জন্য তুলে দিয়েছে লাবনী দাশের হাতে। হাবরা থানার পুলিশ সাতদিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে বৃহস্পতিবার পাঠাবে বারাসাত আদালতে। এই ঘটনার সাথে আরও কারা কারা জড়িত আছে তদন্তে হাবরা থানার পুলিশ।