সারাবছর অনলাইনে পড়াশোনা করার পর পরীক্ষাটাও অনলাইনে হোক, অফলাইনে নয়, মূলত এই দাবী নিয়েই পরীক্ষ বয়কট করে বিক্ষোভ দেখালেন রাজগঞ্জ গভারমেন্ট পলিটেকনিক কলেজর পড়ুয়ারা। এদিন বেলাকোবার অন্তর্গত রাজগঞ্জ পলিটেকনিক কলেজে, মঙ্গলবার কলেজের প্রবেশদ্বার বন্ধ করে রাস্তায় বসে এবং দাড়িয়ে বিক্ষোভে সামিল হন তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পুরো কলেজ চত্বরে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বেলাকোবার ফাড়ির পুলিশ ও ডিপিএসসির চেয়ারম্যান লক্ষমোহন রায়।
এদিন প্রায় ২০০ জনের মতো ছাত্রছাত্রী এই বিক্ষোভে সামিল হতে দেখা গিয়েছে। গত কিছু দিন আগে জায়গায় জায়গায় স্কুল - কলেজ খোলার দাবী উঠেছিল নানা মহল থেকে, চাপে পরে শেষ পযর্ন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে সরকারকে।
কিন্তু এরিমধ্যে ভিন্ন ছবি রাজগঞ্জ পলিটেকনিক কলেজে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটায় বিক্ষভোকারী পড়ুয়াদের বক্তব্য করোনার জন্য এতদিন থেকে পলিটেকনিক কলেজ বন্ধ থাকায় তাদের অনলাইনে ক্লাস হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ কিছুদিন আগেই কলেজ খুলে এখন আচমকাই অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। যা তাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে পরীক্ষার্থীরা।
তাই তারা দাবি রাখছেন যাতে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হয়। কারণ তারা এখনো পর্যন্ত প্রস্তুত হতে পারেননি পরীক্ষার জন্য। পরবর্তীতে কলেজের পড়ুয়ারা তাদের দাবী লিখিত আকারে কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এবং এই স্মারকলিপি কলেজ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেন। এবং এর সাথে দাবি না মানা হলে এই বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন রাজগঞ্জ পলিটেকনিক কলেজের পড়ুয়ারা। এবিষয়ে কলেজের প্রিন্সিপালের সাথে যোগাযোগ করলে কোনোরূপ মন্তব্য পাওয়া যায় নি।
এই বিষয়টি ডিপিএসসির চেয়ারম্যান লক্ষমোহন রায় জানান, পুরো বিষয়টা কলেজ পড়ুয়াদের কাছ থেকে শুনলাম। তাই সেই বিষয়টি কলেজ পড়ুয়াদের একটি লিখিত আকারে স্মারকলিপি কলেজর কর্তৃপক্ষের হাতে দেওয়ার জন্য বলেছি যেনো সেই পড়ুয়াদের দাবি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায় এবং তাদের দাবিগুলো নিয়ে ভাবা হয়। এই সম্বন্ধে আমি কলেজের প্রিন্সিপালের সাথে আলোচনা করবো। তবে পড়ুয়াদের উচিত ছিল পরীক্ষাগুলো দেওয়ার। তারা পরীক্ষা না দিয়ে তড়িঘড়ি আন্দোলনের পথে নেমেছে। জানিনা সেই বাতিল হওয়া পরীক্ষা গুলো নিয়ে কি হবে, বা এর ভবিষ্যৎ কী।