যুবকদের জন্য এ যেনো এক অমূল্য রতন। খেতে গেলেও ফ্রী ফায়ার, ঘুরতে গিয়েও ফ্রী ফায়ার (FREE FIRE), এমন কি কাজের পাশা পাশি ও পড়াশুনার সঙ্গেও ঘিরে ফ্রী ফায়ার। যুবকদের জন্য আলাদাই এক অনুভূতির এই গেম। তবে বাংলাদেশের মতো ভারতেও কি ফ্রী ফায়ার ব্যান হয়ে গেলো? হঠাৎই গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপ স্টোর থেকে উধাও এই ফ্রি ফায়ার গেম। তবে এখনও প্রজনত প্লে স্টোরে রয়েছে এই গেম এর হাই ভার্শন। (Garena Free Fire Max)
-----------------------------------
উল্লেখ্য এয়ারটেল সিম (Airtel Sim) এ কয়েকদিন আগে হটাৎ চালু হচ্ছিলো না এই গেম। জীও সিম এ কোনো প্রবলেম ছাড়াই চলছে তবে জানা গিয়েছে কিছু কিছু সময় আসছে বিজ্ঞাপণ (Advertisment) ।
ভারতে চীনা অ্যাপ এর ব্যাবহার, ভারতে এই চিনা অ্যাপ ব্যানের প্রথম সিদ্ধান্ত শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। সে বার পাবজি মোবাইল-সহ আরও ১০০টিরও বেশি চিনা অ্যাপ ভারতে ব্লক করা হয়েছিল। আবার পাবজি মোবাইলও চিনের গেম নয়। সেটি দক্ষিণ কোরিয়ার। কিন্তু ভারতে পাবজি মোবাইলের ডিস্ট্রিবিউশন সংক্রান্ত দায়িত্বভার ছিল চিনা সংস্থা টেনসেন্ট গেমস-এর হাতে। সরকারের তরফে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছিল, সেই কারণেই ভারতে তা ব্যান করা হয়। পরবর্তীতে চিনা টেনসেন্টের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে নতুন নামে ভারতে পাবজি কামব্যাক করে। এদিনের ৫৪টি অ্যাপ মিলিয়ে ভারতে এখনও পর্যন্ত চিনা অ্যাপ ব্যানের সংখ্যা দাঁড়াল ৩২৪। যদিও গারিনা ফ্রি ফায়ার ব্যানের কারণ পরিষ্কার নয়।
তবে ফ্রী ফায়ার (Free Fire) চিনা গেম না হয়েও কেন ভারতে ব্যান হল, সেই তথ্য এখনও অজানা। একমাত্র সরকারের দিক থেকে পরিষ্কার ব্যাখ্যা এলেই বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে অ্যাপল এবং গুগল তাদের প্লে স্টোর থেকে গেমটি সরাতে পারে কপিরাইট সংক্রান্ত পাবজি মোবাইল কর্তৃপক্ষের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই। তবে এর মধ্যেই আবার পাবজি কর্তৃপক্ষ শুধু যে গারিনা ফ্রি ফায়ার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল এমনটা নয়। সেই সঙ্গে একটা কপি করা গেমকে গুগল এবং অ্যাপল তাদের প্লে স্টোরে কেন রেখে প্রোমোট করছে, তা নিয়ে এই দুই সংস্থার বিরুদ্ধেও মামলা করেছে পাবজির ডেভেলপার ক্রাফ্টন।
তবে এ নিয়ে যুবকদের মতামত না বললেই নয়। যুবকদের দিক থেকে জানা যাচ্ছে সেই নাকি তাদের জীবনের একটি অমূল্য রতনের সমান ছিলো। তবে অনেকেই এই গেম এর লাইভ স্ট্রিমং মাধ্যমে অনেক অনেক টাকা উপার্জন করছেন। টাকা উপার্জনের পাশাপাশি জিতেছেন অনেক নামও। ট্রার্নামেট খেলতে গিয়েছেন অন্যান্য দেশেও। তবে এর খারাপ দিকটা, কেউ কেউ গেম এর নানান নতুন নতুন গান স্কিন আর ড্রেস বা এলাইট পাস কিনতে কিনতে ফুরিয়েছে অনেক টাকাও। তবে এই গেম বন্দ হলে যে যুবকদের অভিভাবকরা কতটা খুশি হবে টা বলা বাহুল্য।