জাতীয় সড়কে লরির সামনে ঝাঁপ এক মহিলার। সদর ট্র্যাফিক ওসি বাপ্পা সাহার ঘটনাস্থলে চলে যাওয়ার অল্পের জন্য প্রাণ বাঁচলো মহিলার। পুলিশের জেরার ওই মহিলা জানায় পারিবারিক অশান্তির কারণে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। পুলিশ ওই মহিলাকে উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে আসেন, পরিবারকে খরব দেওয়া হয়। ওই মহিলার বাড়ি মোহিত নগরের তারা পাড়ায়। পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি আত্মহত্যা চেষ্টা করে বলে দাবি৷
রবিবার সকাল থেকে জলপাইগুড়ি অসম মোড় সংলগ্ন জাতীয় সড়কের ডিভাইডারে বসে ছিলেন ওই মহিলা। সারি সারি দ্রুত গতিতে লরি যাচ্ছিলো। সেই সময় ওই মহিলা ঝাপ দেয়, প্রথম লরি পাশ কাটিয়ে চলে যায়। পিছনে ট্র্যাফিক ওসি বাপ্পা সাহার ট্র্যাফিক পুলিশের জিপে ছিলেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে নেমে ওই মহিলাকে উদ্ধার করেন। তার উপস্থিতিতে প্রাণ বাচলো মহিলার।
ওই মহিলার নাম ভক্তি সরকার। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে এসে ওই মহিলা আত্মহত্যার চেষ্টা করছিলেন বলে জানান জলপাইগুড়ির কর্তব্যরত ট্রাফিক ওসি বাপ্পা সাহা। তিনি জানান, প্রতিদিনের মতই ডিউটি করছিলেন তিনি। সেসময় তিনি লক্ষ্য করেন দ্রুতগতিতে ছুটে চলা যানবাহনের মাঝে ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করছেন এক মহিলা। ছুটে গিয়ে জাতীয় সড়ক থেকে ওই মহিলাকে রক্ষা করেন বাপ্পাবাবু। উদ্ধার হওয়া ওই মহিলাকে নিজেদের অফিসে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই জানা যায় ঘটনার পেছনের বিষয়। পারিবারিক অশান্তির জেরেই আত্মহত্যার চেষ্টা করছিলেন বলে জানিয়েছেন মহিলা।