একের পর এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। ২ দিন আগেই মলবাজারের মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ জন এবং আহত হয়েছেন ৭০ জনের মতো। ফের এর মধ্যেই সপ্তাহ না কাটতেই আবার এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী উত্তরদিনাজপুরের রায়গঞ্জে। এদিন সব জায়গায় মতই রায়গঞ্জে চলছিলো পূজোর কানির্ভাল, আর সেই কানির্ভালে একটি ক্লাব তাদের প্রতিমাগুলিকে গরুর গাড়ি করে নিয়ে যাচ্ছিল। আর তাতেই ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। প্রতিমাবহনকারী একটি গরুর গাড়ি থেকে গাড়ি ফেলে পালিয়ে গেল দু’টি গরু।
-----------------------------------
পড়ুন: বিসর্জনে মর্মান্তিক ঘটনা! হরপা বানে তলিয়ে মৃত্যু ৭ জনের এবং নিখোঁজ বহু
এমনকি গরুটি শুধুই পালালো না। আশেপাশের মানুষজনকে গুঁতিয়েও দেয়। সেই গরুদের গুঁতোয় আহত হলেন অন্তত ৩০ জন। যদিও উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসকের দাবি, আহত হয়েছেন ৮ জন। আহতদের বেশিরভাগের আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও তিন জন এখনও রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের মধ্যে রায়গঞ্জের ভারত সেবক সমাজ ক্লাবের সভাপতি সাধন কর্মকারের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। গভীর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।
জানা গিয়েছে অনেক কষ্ট করার পর গাড়ির চালক ও অন্যান্য ক্লাব কর্মকর্তারা গরু দু’টিকে নিয়ন্ত্রণে আনেন, কিন্তু আবার কিছুটা গিয়েই গরুরা ছুটে পালাতে যায়। গাড়িটি কিছুটা দূরে গিয়ে উল্টে পড়ে। এরপরেই ওই দুই গরু জনতার মাঝখান দিয়ে উল্টো দিকে ছুটতে থাকে। ফলে ধাক্কা লাগে অনেকের। দু’টি নিয়ন্ত্রণহীন গরুকে ছুটতে দেখে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় জনতার মধ্যে। এই ধাক্কা এবং হুড়োহুড়িতে আহত হন অনেকে। গুরুতর আহল হন রায়গঞ্জের ভারত সেবক সমাজ ক্লাবের সভাপতি সাধন কর্মকার। তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের সিসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে যান জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মীনা ও রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার। পুরসভার প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাসও যান হাসপাতালে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, “কার্নিভাল শেষ হওয়ার পরই নকি এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত হয়েছেন ৮ জন। তাঁদের মধ্যে ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি। ১ জনের অবস্থা গুরুতর।”