লক্ষ্মী পূজার মেলায় ছুরি আঘাতে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ধুপগুড়িতে - KhabarBanga.In - খবর বঙ্গ! Breaking news! Latest news in bengali! Today News, লক্ষ্মী পূজার মেলায় ছুরি আঘাতে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ধুপগুড়িতে

লক্ষ্মী পূজার মেলায় ছুরি আঘাতে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ধুপগুড়িতে

-----------------------------------
সৌভিক দত্ত, ধূপগুড়ি: ধূপগুড়ির ঠাকুরপাঠ এলাকায় ফনির মাঠে লক্ষীপুজোর মেলা চলাকালীন এক যুবককে ছুরি দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো। ঘটনার পর খবর পেয়ে ছুটে আসে ধুপগুড়ি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি ঠিক কি কারনে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। গুরুত্বর আহত ওই যুবককে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে স্থানীয়রা ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। জানা যায় গুরুতর আহত ওই যুবকের নাম জয়ন্ত রায়। এবং অভিযুক্তর নাম গোপাল রায়। দুজনই সাঁকোয়াঝোরা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে পাকড়াও করে নিয়ে যায় ধুপগুড়ি থানায়। অন্যদিকে ঘটনার পরই মেলা বন্ধ করে দেয় মেলা উদ্যোক্তারা। ঠাকুরপাঠ এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ঘটনার খবর চাউর হতেই তড়িঘড়ি মেলায় আসা আতঙ্কিত দর্শনার্থীরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। ব্যবসা বন্ধ করে দেন মেলার দোকানদারেরা।

তবে এরকম ঘটনা এই প্রথম ওই এলাকায় ঘটে বলে দাবি স্থানীয়দের। কিন্তু কি কারণে এরকম ঘটনা ঘটলো তা এখনো স্পষ্ট নয়। মেলা কমিটির তরফে ভাস্কর রায় বলেন ব্যক্তিগত কোনো শত্রুতার কারণেই এই ঘটনা। মেলার মাঠে হয়নি এই ঘটনা। কিছু টা দূরে ঘটে। আমরা পরে ঘটনার খবর শুনে মেলা বন্ধ করে দেই। প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য স্থানীয় বাসিন্দা উত্তম রায় বলেন ছুরি দিয়ে আঘাত করার পর ছেলেটি অনেকক্ষণ রাস্তায় পড়েছিল। তারপর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এবং অভিযুক্ত যুবককে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। তাদের ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে এই ঘটনা। তবে ছুরি দিয়ে এভাবে খুন করার চেষ্টার অভিযোগে। ঘটনার তদন্ত চেয়ে অভিযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন তারা। ঘটনার পর এলাকায় পুলিশের টহলদারি দেখা যায়।

তবে একাধিক এলাকায় অভিযোগ রয়েছে এই সংস্কৃতিক সন্ধ্যার নামে পেছনে রয়েছে জুয়ার আসর আর সামনে অর্কেস্ট্রা আয়োজন এবং তাতে হিন্দি বাংলা গানে চোটুল নাচ। আর মারপিটের ঘটনা সামনে আসছে। সঠিক ভাবে নিরাপত্তা দিতে পারছে না আয়োজকরা। আর এতেই প্রশ্ন উঠছে এভাবে সঠিক নিরাপত্তা ছাড়া এরকম অনুষ্ঠান আয়োজন কতটা যুক্তিযুক্ত। প্রশাসনও কিভাবে এরকম অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেয় প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ বুদ্ধিজীবি মানুষ। এখন দেখার বিষয় এই ঘটনার পর কতটা সতর্ক হয় উদ্যোক্তা থেকে প্রশাসন।
-----------------------------------

Advertisement

Google News

Google News

Follow Us On Google News Click here
close