দুর্গাপূজায় মালবাজার বিপর্যয়ের পর ছট ঘাটে প্রশাসনের তরফে সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহনের কথা থাকলেও তার প্রতিচ্ছবি ধরা পড়ল না বেলাকোবা সাহেববাড়ির তালমা নদীর ঘাটে। এর আগের বছর ব্রিজটি দুর্বল বলে ঘোষিত হওয়ার পর ছট পূজার সময় ব্রিজের দুই দিকে দেওয়া ব্যারিয়ার দেওয়া হয়েছিল, তবে এবারে সেসব কিছু লক্ষ করা গেল না। সাহেববাড়ি এলাকার মানুষেরা বলছেন, সেতুর দুপাশের রেলিং থেকে লোহার রড বেরিয়ে পড়েছে। লোহার পিলারগুলিও ভেঙে পড়েছে বিভিন্ন জায়গা থেকে পলেস্তারা খসে পড়েছে সেতুর উপরে রাস্তার কংক্রিট উঠে গিয়ে লোহা বেরিয়ে গেছে। সাইকেল বাইক স্কুটার উঠলেই সেতু দুলতে থাকে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ প্রশাসনকে একাধিকবার জানিও সংস্কার হয়নি।
এলাকাবাসী ইতিপূবে দুর্বল ব্রিজ সংস্কারের দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি নিয়েছিল কিন্তু বেলাকোবা পুলিশ ফাঁড়ির ওসি বুদ্ধদেব ঘোষের প্রতিশ্রুতিতে তারা সেই কর্মসূচি বাতিল করে। সেই প্রতিশ্রুতির অপেক্ষায় এখন তারা আছেন। রাজগঞ্জ ব্লকের শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহেববাড়ির বুক চিরে বয়ে যাওয়া তালমা নদীর পাড়ে প্রতিবছর ছট পূজার আয়োজন হয়।
এ বছরও পূজোর আয়োজন ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে । বেলাকোবা, সাহেববাড়ি, ডাক্তারপাড়া, নতুনপাড়া ,ঘাউড়ি পাড়া, রাজমাতারবাড়ি এলাকার ভক্তদের জন্য ৩১ টি ঘাট তৈরির কাজ চলছে জোর কদমে। পুজোর দুদিন ঘাট চত্বরে অন্তত ৫ হাজার এরও বেশি মানুষের ঢল নামবে বলে বেলাকোবা সাহেববাড়ি ছট পূজা ঘাট কমিটির সম্পাদক চিরনঞ্জিত পাঠক জানান। মানুষের নিরাপত্তার জন্য দুর্বল সেতুর উপর যাতে কেউ না দাঁড়ায় তার জন্য শনিবার কমিটির পক্ষ থেকে রবিবার দুপুর আড়াইটা থেকে রাত্রি সাতটা এবং সোমবার সকাল তিনটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত দুর্বল সেতুটি বন্ধ থাকবে বলে তারা মাইকিং করেছেন। এর জন্য সড়ক যাত্রীদের অসুবিধাতে তারা ক্ষমা প্রার্থী বলে জানান। যদিও পূজোর দিনগুলিতে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ ও প্রশাসনের তৎপরতা থাকবে বলেই বেলাকোবার পুলিশ ফাঁড়ির ওসি বুদ্ধদেব ঘোষ জানিয়েছেন। দুর্বল ব্রিজের উভয় দিকে বাঁশ দিয়ে ব্যারিয়ার করা হবে কাউকে ব্রীজের উপর দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। ব্লক প্রশাসনের নির্দেশে নদীর আঠারো ফুটে বাঁশ ও নেট দিয়ে ব্যারিয়ার করা হবে ওর বাইরে কেউ যেতে পারবে না।