আগামী ১০ ডিসেম্বর ইতিহাসের সাক্ষী হতে চলেছে কোচবিহার বাসি। এই প্রথম কোচবিহার জেলা পুলিশের উদ্যোগ হতে চলেছে হেরিটেজ ম্যারাথন। কোচবিহারের রাজ আমলের প্রায় ১৫০ টি ঐতিহাসিক স্থান গুলিকে সকলের কাছে তুলে ধরতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ সুপার অফিসের কনফারেন্স রুমে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই হেরিটেজ ম্যারাথনের প্রোমো ভিডিও সহ বিভিন্ন বিষয় প্রকাশ করা হয় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। এদিনের এই অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অ্যাথলেটিক এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী অর্জুন পদক প্রাপ্ত স্বপ্না বর্মন। তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয় সাধারণ মানুষের জন্য দুটি বিভাগে হেরিটেজ ম্যারাথন হবে। একটি ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং অন্যটি ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ, পাশাপাশি পুলিশকর্মীদের জন্যও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ কিলোমিটার হেরিটেজ ম্যারাথনের আয়োজন করা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে ২১ কিলোমিটার হেরিটেজ ম্যারাথনে ৪২ টি হেরিটেজ স্থান এবং ১০ কিলোমিটার হেরিটেজ ম্যারাথনে ২২ টি হেরিটেজ স্থান পরিক্রমা করবে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা।
এদিন অনুষ্ঠান শেষে সংবাদ মাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন আমরা কোচবিহারের ঐতিহাসিক বানেশ্বর শিব মন্দিরের মোহনকে সামনে রেখেই এই ম্যারাথনের আয়োজন করেছি, পাশাপাশি কোচবিহারের মহারাজা ও মহারানীদের মহান ভূমিতে গড়ে ওঠা ঐতিহাসিক স্থানগুলিকে রাজ্য তথা দেশের সামনে তুলে ধরতে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। আমরা তিনটি বিভাগে হেরিটেজ ম্যারাথনে প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীদের আর্থিক পুরস্কার ও শংসাপত্র প্রদান করব। এর পাশাপাশি এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী অর্জুন পদক প্রাপ্ত অ্যাথলেটিক স্বপ্না বর্মন বলেন কোচবিহার জেলা পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই পাশাপাশি আমাদের কোচবিহারের রাজা আমলের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান দেশ এবং পৃথিবীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক আমরা এটাই চাই। এছাড়াও তিনি বলেন আজ এই অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে আমন্ত্রণ জানায় তিনি খুবই খুশি এবং আপ্লুত।