সৌভিক দত্ত, জলপাইগুড়ি: ধূপগুড়ির আনন্দ মন্ডল (Anand Mandal) ৩০ বছর ধরে মানুষকে আনন্দ দিয়ে আসছিলেন। কখনো হনুমান আবার কখনো তাকে দেখা যেত শিবের সাজে। যাকে ধূপগুড়ির মানুষ সবসময় দেখে থাকেন বহুরূপী সাজে। শুধু ধূপগুড়ি (Dhupguri) বললে ভুল হবে পেটের টানে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন মেলা,উৎসব ঘুরে বেড়ান তিনি। জল্পেশ মেলা থেকে শুরু করে এমনকি পার্শবর্তী রাজ্য অসম (Asam) থেকে লাগোয়া বাংলাদেশেও (Bangladesh) গিয়েছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় তিনি মানুষকে আনন্দ দিয়ে এসেছিলেন। ধূপগুড়ি মানুষ তাকে শেষ দেখেছেন বলতে হয় কালী পূজোতে বৈরাতিগুড়ি শ্যামা পুজোর থিম ছিল "পুরোনো ধুপগুড়ি" আর সেখানেই শিবের সাজে ছিলেন। এই করেই দিন চলতো ধুপগুড়ি ব্লকের বারোঘড়িয়া অঞ্চলের বাসিন্দা আনন্দ মন্ডলের।
কোথাও সারাদিনের হাজিরা পেতেন দিন ভালো হলে বাড়তি বকশিস। কালীপুজোর পর থেকে আর সেভাবে দেখা যায়নি ধূপগুড়িতে তাকে। খুব বেশি হলে সাড়ে তিন ফুঁটের উচ্চতার একটু মোটাসোটা চেহারা। তিনি বুধবার রাত নয়টার সময় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় একাধারে বাড়ির বড় ভাই ছিলেন তিনি। এবং তিনি বিয়ে করেননি শুধুই মানুষকে আনন্দ দিয়ে চলছিলেন। আজ শিল্পী আনন্দ মন্ডল বেঁচে না থাকলেও তার স্মৃতি মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা কীটনাশক খেয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। তবে কি কারণে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত তা এখনো পরিষ্কার ভাবে জানা যায়নি। মানসিক এবং পারিবারিক চাপেই এমনটা হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স ছিল ৩৫ বছর।