শুদ্ধ বাংলা ভাষায় কোরান অনুবাদ করে তাক লাগালেন বেলাকোবা হাইস্কুলের শিক্ষক মজাহারুল হক। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে তার প্রচেষ্টায় এই সাফল্য মেলে। তার বিশ্বাস বাংলা ভাষাতে কোরান পরতে অনেকের সুবিধা হবে।
মজাহারুল হকের বাড়ি জলপাইগুড়ি শহরের সেন পাড়ায়। দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে বেলাকোবা হাইস্কুলে শিক্ষকতার কাজ করছেন। তবে হঠাৎই কেন কোরানকে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করায় মনবাসনা জাগলো? উত্তরে মজাহারুল বাবু জানান, গত বছর যখন কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেই সময় একটি পনেরো বছরের বালকের কোরান পাঠের মাধ্যমে খেলার সূচনা হয়। সেই বালকটির পা নেই, বিশ্বভাতৃত্ব বোধ সে পাঠ করে সেই থেকেই তিনি কোরানকে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করার জন্য উৎসাহিত হন এছাড়াও যেহুতু বাংলা ভাষায় কোরান অনুবাদ করা নেই তাই তিনি আগা গোড়াই কোরানকে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করার এক ভাবনা করেছিলেন। অবশেষে দীর্ঘ ছয় মাস পরিশ্রম করে বাংলা ভাষায় সম্পূর্ণ কোরান অনুবাদ করেন।
তার অনুবাদের মোট ১৫ টি কপি তিনি ছাপিয়ে ছিলেন। যার মধ্যে ২ টা তার কাছে রেখেছেন বাকি ১৩ টি তিনি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে দান করছেন। মানুষ যদি পরবর্তীকালে তার এই পরতে চায় তাহলে তিনি আরও বই ছাপাবেন বলে জানিয়েছেন।
অনুবাদে মোট ১১৪ টি সুরা রয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেকটি সুরায় আলাদা আলাদা লেখা রয়েছে। এছাড়াও বইয়ের সূচিপত্রের আগে মজাহারুল বাবু তার নিজস্ব এক উক্তিও লিখেছেন। মজাহারুল বাবু বলেন, কোরান শুদ্ধ বাংলা ভাষায় পাওয়া যায় নি, গেলেও তাতে আরবি ভাষার সাথে তরজমা করে দেওয়া থাকে, যার ফলে অনেকের পরতে সমস্যা হয়। সেইসব কথা চিন্তা করেই তার এই বাংলা অনুবাদ।
মজাহারুল বাবুর কোরান বাংলা অনুবাদ করায় উচ্ছসিত বেলাকোবা হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৌষিক ঘোষ। তিনি বলেন, খুব ভালো লাগছে যে আমাদের স্কুলের এক শিক্ষক এই প্রথম শুদ্ধ ভাবে বাংলায় কোরান অনুবাদ করেছেন, উনি খুব পরিশ্রম করে এই কাজ করেছেন, আশাকরি ভবিষ্যতে উনি আরও অনেক সাফল্য পাবেন।