পূর্ব ঘোষণা মতে সোমবার আমেরিকার দম্পতি কোচবিহারে এসে ছোট্ট কলিকে তাদের কোলে তুলে নিল। আর গোটা ঘটনার সাক্ষী থাকলো কোচবিহার জেলা প্রশাসন।
এবিষয়ে কোচবিহার জেলার শিশু সুরক্ষা আধিকারিক স্নেহাশিস চৌধুরী জানান, দত্তক গ্রহণ প্রক্রিয়া ২০২০ অনুযায়ী সমস্ত নিয়ম-নীতি মেনে কলিকে আমেরিকার দম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হলো। অনলাইনের মাধ্যমে তারা আবেদন করেছিলেন। আবেদনের পরে তাদের সমস্ত নথি ভেরিফিকেশনের পর রবিবার কোচবিহারের অতিরিক্ত জেলা শাসক রবি রঞ্জন বাবুর চেম্বারে ছোট্ট কলিতে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, আমেরিকার ওয়াশিংটনের বাসিন্দা জেমিখা জোসেস এজিস ও সারা ইনজ এজিস অনেকদিন আগেই আবেদন জানিয়েছিলেন। জেমিখা জোসেস এজিস পেশায় চিকিৎসক। কেন্দ্রীয় সরকারের নারী এবং শিশু কল্যাণ দপ্তরের অধীনে থাকায় সেন্ট্রাল এড অপশন রিসোর্স অথরিটির মাধ্যমে তারা অনলাইনে কলিকে দত্তক নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তারপরেই শুরু হয় প্রক্রিয়াকরণ। শেষমেষ এদিন তারা কোচবিহারে এসে পাকাপাকিভাবে কলিকে তাদের কাছে নিয়ে গেল।
এর আগে অবশ্য ২০১৮ সালের ৯ জুলাই ইতালির এক দম্পতির হাতে দত্তক হিসেবে আরেকটি শিশুকে তুলে দেওয়া হয়েছিল। সেই শিশুটি বর্তমানে যথেষ্ট ভালোভাবেই রয়েছে। কলিকে কাছে পেয়ে খুশি আমেরিকান দম্পতি জানান, কলিকে তারা নিজের সন্তানের থেকেও বেশি ভালোবাসবেন।