অনুপম রায়, বেলাকোবা: জানা গিয়েছে, বেলাকোবার পন্ডিতের বাড়ি এলাকার এক বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার হাট করে গলঘর্ম অবস্থায় রাত নয়টা নাগাদ বাড়ি ফেরার পর হাত – মুখ ধুয়ে যখন ঘরে ফ্যানের তলায় একটু বিশ্রাম করতে যান তখনই হটাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। ঘন্টা খানেক এই গরমের পর বিদ্যুৎ আসে। বাধ্য হয়ে ক্ষোভের সুরে তিনি বলেন, প্রতিটি দিন এইভাবে এই গরমে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাজেহাল হতে হচ্ছে আমাদের। এই সমস্যা যাতে না হয় তার দাবী জানিয়েছেন তিনি।
শুধুমাত্র এক ব্যাক্তির কথা বললে ভুল হবে। কারণ একই দাবী তুলেছে অনেকেই। এমনকি অতি শীঘ্র সমস্যা সমাধান না হলে ধর্নার হুমকির কোথাও শোনা গিয়েছে।
কিন্তু কেন? জানা গিয়েছে, এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে কার্যত নাজেহাল হতে হচ্ছে বেলাকোবাবাসীকে। গত বেশ কয়দিন ধরে অত্যধিক গরম। চাতক পাখীর মতো বৃষ্টি দিকে তাকিয়ে প্রত্যেকেই। এমতাবস্থায় বারে বারে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে বেলাকোবায়। দিন দুপুরে তো হচ্ছেই সাথে রাতেও। কখনও দশ থেকে পনেরো মিনিট কখনও চল্লিশ – পয়ঁতাল্লিশ মিনিট আবার কখনও ঘন্টা পেরিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে স্বাভাবিক এই গরমে ক্ষোভ জমছে অনেকের মনে।
বেলাকোবার কলেজ পাড়ার বাসিন্দা সুব্রত রায় জানান, অনেকেই দিনে দুপুরে কাজ করে সন্ধ্যার সময় বাড়িতে ফেরেন, এই গরমে বিশ্রাম করার সেই সময় যদি এইভাবে করে প্রত্যেকটা দিন কারেন্ট চলে যায় তাহলে কার মাথাটা না গরম হবে? এছাড়াও সামনের সপ্তাহ থেকে শুরু হতে চলেছে কলেজের পরীক্ষা! এমনকি বেশ কয়েকটি কলেজে এখন পরীক্ষা চলছে ফলে এইভাবে বিদ্যুৎ চলে যাওয়া পড়াশোনার অনেকটা সময়ই নষ্ট হচ্ছে বলে জানান বিটেক পড়ুয়া বিক্রমাদিত্য রায়।
এদিকে এইভাবে আর দু – একদিন চললে সোজা বেলাকোবা ইলেকট্রিক অফিসের সামনে ধর্নাতে বসার হুশিয়ারি দিয়েছেন বেলাকোবার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক পার্থ প্রতিম পাল। তিনি জানান, প্রথমত, এই গরমে এইভাবে করে বিদ্যুৎ বিভ্রাত অস্বস্তিকর এবং দ্বিতীয়ত রাতে করে ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে, অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান না হলে ধর্নাতে বসার কথা তিনি জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে জলপাইগুড়ির রিজিওনাল ম্যানেজার সঞ্জয় মন্ডল জানান, এই সমস্যার পিছনে অনেক মানুষই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়ী। কারন, অনেকেই বাড়িতে এসি কিংবা কুলার বসালেও তা অফিসে জানাচ্ছে না। যার ফলে বিদ্যুৎ পরিবহনে এই সমস্যা হচ্ছে। তবে আগামী দু – তিন দিনের মধ্যে এই সমস্যা মিটে যাওয়ার আশ্বাস তিনি দিয়েছেন।