ভোটের দিন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের গতিবিধিকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা পুলিশের। শিলিগুড়ির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান বিজেপি কর্মীরা। এনিয়ে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। শিখার সঙ্গে পুলিশের বচসা শুরু হয়। বিজেপি কর্মীরাই শিখাদেবীকে কার্যত পুলিশের হাত থেকে বের করে গাড়িতে করে নিয়ে চলে যান। শিখাদেবীর অভিযোগ, তাঁকে তার নির্বাচনি কার্যালয় থেকে বের হতে নিষেধ করেছিল পুলিশ। কিন্তু তিনি তাঁর বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন স্থানে যান। কোথাও পুলিশ তাঁকে আটকায়নি। শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে আসতেই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে যায় বলে শিখাদেবীর দাবি। তিনি প্রতিবাদ করলে পাশে এসে দাঁড়ান বিজেপি কর্মীরা। মুহূর্তে ধস্তাধস্তি শুরু হয় এলাকায়। পুলিশ ও বিজেপি কর্মীরা কার্যত হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এরই মধ্যে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় শিখাদেবীকে।
তিনি বলেন, তৃণমূলের নির্দেশে পুলিশ এ কাজ করছে। সকালে পুলিশ ফোন করে তাঁকে বুথে যেতে মানা করেছে বলে দাবি। এমনকি, পুরুষ পুলিশকর্মীরা তাঁকে টানা হেঁচড়া করেছে বলেও অভিযোগ জানান তিনি। মেয়র গৌতম দেবের নির্দেশে পুলিশ এ কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি বিধায়ক। পালটা বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘প্রথম থেকেই উনি ওই এলাকায় প্ররোচনার সৃষ্টি করছেন। জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের প্রার্থীর সঙ্গে বিভিন্ন বুথে ঘুরে ঘুরে ভোটারদের প্রভাবিত করতে চাইছেন। বুথের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছেন। নিয়ম অনুযায়ী তিনি এটা করতে পারেন না।’