আসামে প্রায় বেশ কয়েকদিন ধরে টানা ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এজন্য রাজ্যটিতে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি। বন্যার জলে ডুবে গেছে প্রায় অসংখ্য ঘরবাড়ি। ভয়াবহ পরিস্থিতি অসমের ১৯ টি জেলায় ৷ সেখানকার ১ হাজার ২৭৫টি গ্রাম পুরোপুরি জলের তলায় চলে গিয়েছে ৷ দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় ৬ লাখ স্থানীয় বাসিন্দা। এই পরিস্থিতির কারণে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৫ এর বেশি! আগামী কয়েকদিন আসামসহ ভারতের অন্যান্য জেলায় ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। সোমবার (১ জুলাই) আসামের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বলেন, রাজ্যের মোট ৩৫টি জেলার মধ্যে বন্যায় বিপর্যস্ত অন্তত ১৯টি জেলা। এ পরিস্থিতিতে রাজ্যের হাজার হাজার মানুষ ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।
আসামে আগামী তিন-চার দিনে বৃষ্টির প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। আসাম (Assam) রাজ্য সরকারের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর এএসডিএমএ আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাজ্যের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলোর মধ্যে অন্তত ৮টির জল বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি সবচেয়ে গুরুতর লাখিমপুরে। জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে জলবন্দি হয়ে পড়েয়েছেন অন্তত প্রায় ১ লাখ ৪৪ হাজার মানুষ। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ধেমাজি ও কাছাড়। এ দুই জেলায় পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন যথাক্রমে ১ লাখ ১ হাজার ৩৩৩ জন এবং ৬৬ হাজার ১৯৫ জন মানুষ। প্রায় প্রতিবছর বর্ষার মৌসুমে আসাম ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয় আসাম। এতে জনজীবন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়। এর আগে ২০২২ সালে আসাম রাজ্যে তীব্র বন্যায় প্রায় ৪০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। এতে কমপক্ষে ৪৫ জনের প্রাণহানি হয়। নতুন করে যে তথ্য সরকারের তরফে দেওয়া হয়েছে, তাতে রাজ্যের 6 লক্ষ 44 হাজার 128 জন মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন ৷ সেই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি জলের তলায় চলে গিয়েছে ৷ যার সঠিক পরিমাণ এই মুহূর্তে জানা যায়নি ৷